নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে : বিস্ফোরক মত উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের

2nd October 2020 8:35 pm হুগলী
নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে : বিস্ফোরক মত উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  হুগলী জেলায় লোকসভা নির্বাচনে দুটো আসন জিতলে একটি লোকসভা হারিয়েছি। বিজেপির বিপুল ভোট বেড়েছে। ফলে তৃনমূলের নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়েছে। তার পর দলে ভাল হবার কথা ছিল। ভাল না হয়ে দিনে দিনে খারাপ হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মিছিল পাল্টা মিছিল, গোষ্ঠী কোন্দল লেগে আছে। কমিটি গুলো হয়নি। বেড়ালকে মাছ পাহারা দিতে দিল। বেড়ালই মাছ তুলে নিয়ে গেলো। কাদের দায়িত্ব দিল সংগঠনকে ঠিক করতে ? কি কাজ হয়েছে সংগঠনের। ১১ জনের বেশী বিধায়ক অভিযোগ করেছে। মিটিং, মিছিলে তাদের জানানো হয় না। দলের কিছু অংশ বিরোধীদের উৎসাহিত করছে। এটা তৃনমূল দলের পক্ষে চিন্তার বিষয়। আমি নিজেও জানিনা দলের মিটিং, মিছিলের কথা। দলের নেতারা কোথায় কি আলোচনায় বসছে কিছুই জানতে পারি না। কি হচ্ছে এটা ?  বিভিন্ন এলাকায় বিধায়কে না জানিয়ে মিটিং, মিছিল করা হচ্ছে। এর ফলে দল দুর্বল হচ্ছে। আগামী বিধানসভায় লড়াই কঠিন হয়ে যাবে।এমনটাই মনে করছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল ।
অন্য দিকে বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক সভাপতি  শ্যামল বোস বলেন হুগলী জেলায় তৃনমূল কংগ্রেস এর গোষ্ঠীকোন্দল আছে। বিজেপি যে ভাবে উঠে আসছে তৃনমূলের পক্ষে সামাল দেওয়া মুশকিল। বিজেপি দল  সবাইকে নিয়ে চলে। কৃষি বিল নিয়ে বিরোধীরা যা করছে ঠিক নয়। কৃষকদের  স্বার্থে সমর্থন  করা উচিত। তারা কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে। হুগলী জেলার তৃনমূলের বেশ কিছু নেতা যোগাযোগ রাখছে। তৃনমূল নেতারাই আমাদের জানায় কোথায় তাদের গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে। পুজোর পর বেশ কিছু নেতা বিজেপিতে আসবে। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ফল ভাল হবে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।