সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : হুগলী জেলায় লোকসভা নির্বাচনে দুটো আসন জিতলে একটি লোকসভা হারিয়েছি। বিজেপির বিপুল ভোট বেড়েছে। ফলে তৃনমূলের নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়েছে। তার পর দলে ভাল হবার কথা ছিল। ভাল না হয়ে দিনে দিনে খারাপ হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মিছিল পাল্টা মিছিল, গোষ্ঠী কোন্দল লেগে আছে। কমিটি গুলো হয়নি। বেড়ালকে মাছ পাহারা দিতে দিল। বেড়ালই মাছ তুলে নিয়ে গেলো। কাদের দায়িত্ব দিল সংগঠনকে ঠিক করতে ? কি কাজ হয়েছে সংগঠনের। ১১ জনের বেশী বিধায়ক অভিযোগ করেছে। মিটিং, মিছিলে তাদের জানানো হয় না। দলের কিছু অংশ বিরোধীদের উৎসাহিত করছে। এটা তৃনমূল দলের পক্ষে চিন্তার বিষয়। আমি নিজেও জানিনা দলের মিটিং, মিছিলের কথা। দলের নেতারা কোথায় কি আলোচনায় বসছে কিছুই জানতে পারি না। কি হচ্ছে এটা ? বিভিন্ন এলাকায় বিধায়কে না জানিয়ে মিটিং, মিছিল করা হচ্ছে। এর ফলে দল দুর্বল হচ্ছে। আগামী বিধানসভায় লড়াই কঠিন হয়ে যাবে।এমনটাই মনে করছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল ।
অন্য দিকে বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক সভাপতি শ্যামল বোস বলেন হুগলী জেলায় তৃনমূল কংগ্রেস এর গোষ্ঠীকোন্দল আছে। বিজেপি যে ভাবে উঠে আসছে তৃনমূলের পক্ষে সামাল দেওয়া মুশকিল। বিজেপি দল সবাইকে নিয়ে চলে। কৃষি বিল নিয়ে বিরোধীরা যা করছে ঠিক নয়। কৃষকদের স্বার্থে সমর্থন করা উচিত। তারা কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে। হুগলী জেলার তৃনমূলের বেশ কিছু নেতা যোগাযোগ রাখছে। তৃনমূল নেতারাই আমাদের জানায় কোথায় তাদের গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে। পুজোর পর বেশ কিছু নেতা বিজেপিতে আসবে। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ফল ভাল হবে।